Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা, চাপ বাড়ছে ইউনুস সরকারের?

আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলা নিয়েও দুদেশে চাপানউতোর চলছে।

Bangladesh is interested in trade with India

বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 5, 2024 6:14 pm
  • Updated:December 5, 2024 6:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক: সংঘাত আবহেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। হিন্দু নির্যাতনে উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে সালেহউদ্দিন জানালেন, রাজনৈতিকভাবে যা কিছু ঘটুক না কেন, ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। চাপে পড়েই কি এমন কথা বলছে ইউনুস সরকার? 

জানা গিয়েছে, এক সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন জানিয়েছেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে সেটি রাজনৈতিক। বাণিজ্যিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন তাঁরা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হন না। তাঁরা পণ্য বেচেন। যেখান থেকে বাংলাদেশ কম দামে পণ্য পাবে, সেখান থেকেই কিনবে।” ভারত, মায়ানমার ও ভিয়েতনামের কাছ থেকে চাল আমদানির কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে পণ্যের অভাব হবে না। বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে, যে কারণে বাজারে কিছুটা সংকট চলছে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের রিজার্ভ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে গিয়েছে। যে কারণে ব্যাঙ্কের আমানত বাড়ছে না। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি, জিনিসপত্রের দাম কমছে না। কারণ, রাজনৈতিক চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এদিকে, ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলা নিয়ে দুদেশে চাপানউতোর থাকলেও বুধবার আখাউড়া স্থলবন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি স্বাভাবিক ছিল যাত্রী পারাপার। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, প্লাইউড-সহ বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ১০টি ট্রাকে করে এসব পণ্য যায়। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২০ জন ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে পারাপার করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, নানা কারণে দুদেশের দূরত্ব যতই বাড়ুক না কেন, এখনও বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের রপ্তানি বজায় রেখেছে ভারত। এই মুহূর্তে ডিম, চিনি, পিঁয়াজ, লঙ্কা থেকে শুরু করে নানা জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম ওপার বাংলায়। বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। ফলে হিন্দু নির্যাতনের কারণে ভারত যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তাহলে বিপাকে পড়বে ঢাকাই। তাই ভারতবিরোধী কথা বললেও দিল্লির থেকে পণ্য চাই বাংলাদেশের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement