সুকুমার সরকার, ঢাকা: কুখ্যাত জামাত জঙ্গি মিজানকে ফেরাতে উদ্যোগী বাংলাদেশ। এই মর্মে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ঢাকা। যত দ্রুত সম্ভব মিজানকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে চাইছে হাসিনা সরকার।
[হিন্দু মহাসভার অধ্যক্ষ নেতাজির প্রপ্রৌত্রী রাজ্যশ্রী]
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, জঙ্গি মিজানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি সালাউদ্দিন সালেহিন, রাকিবুল হাসানও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মিজানকেও ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তারপরই ভারতে পালিয়ে এসে গা ঢাকা দেয় ওই জঙ্গি। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর পালিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ থেকে জেএমবির জেহাদি যুবকদের নিয়ে গিয়ে চেন্নাইয়ে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল কওসর ওরফে বোমারু মিজান। পাটনার এনআইএ ক্যাম্পে দীর্ঘ জেরায় দক্ষিণ ভারতে জেএমবি’র কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জামাতের উজির মিজান।
এনআইএ-র এক আধিকারিক শুক্রবার জানান, “যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তাদের কয়েকজন মালদহ ও মুর্শিদাবাদের যুবক বলে কওসর দাবি করেছে। ওপার বাংলার রংপুর, রাজশাহি ও চাপাই নবাবগঞ্জের কয়েকজন জেহাদি চেন্নাইয়ের ওই ক্যাম্পে এসেছিল।” খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম দুই অভিযুক্ত কদর গাজি ও হাবিবুল্লাহ নামে দুই জঙ্গিও বেঙ্গালুরুর ডেরায় ছিল। কিন্তু মিজান ধরা পড়ার কিছুক্ষণ আগেই তারা পালিয়ে যায় বলে জেরায় স্বীকার করেছে জেএমবি-র উজির। এদিন ঢাকায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, “জেএমবি নেতা জাহিদুল ইসলাম মিজান ওরফে ‘বোমা মিজানকে’ সময়মতো দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।” জঙ্গি ও সব ধরনের অপরাধী আদানপ্রদান নিয়ে তিনি বলেছেন,“ বন্দি বিনিময় চুক্তি মেনে আমরা যাকে চেয়েছি কিংবা ভারত যাকে চেয়েছে তার প্রত্যেকটিই দ্রুত কার্যকর হয়েছে। এবারও সময়মতো মিজানকেও নিয়ে আসব।”
এনআইএ-র কাছ থেকে মিজানের স্বীকারোক্তির নামের তালিকা থেকে পাঁচ যুবকের তালিকা হাতে আসার পরই মুশির্দাবাদের ধুলিয়ানে তল্লাশি চালান রাজ্যের গোয়েন্দারা। কিন্তু কওসর ধরা পড়ার খবর টিভিতে প্রচার হওয়ার পরই সোমবার দুপুরেই ওই যুবকরা দ্রুত উধাও হয়ে গিয়েছে বলে ধুলিয়ানের প্রতিবেশীরা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন। এনআইএ-কে মিজান জানিয়েছে, নিজে বেঙ্গালুরু থাকলেও কেরল ও চেন্নাইয়ে ছদ্মনামে যাতায়াত করত সে। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সেই জেহাদিদের অনেকেই কিন্তু জানত না, প্রশিক্ষকের নাম বোমারু মিজান। স্কুল জীবনের নাম জহিদুল হিসাবে সে নিজেকে পরিচয় দিত। নিজে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করলেও শিবিরে আসা যুবকদের ল্যপটপ থেকেই নানা ডিভাইস দেখিয়ে বিস্ফোরক ব্যবহারের কলাকৌশল শিখিয়েছিল মিজান।
[স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানীর নিরাপত্তায় নামছে দেশের প্রথম মহিলা SWAT টিম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.