সুকুমার সরকার, ঢাকা: অবশেষে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরার স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। উদ্বাস্তুদের ভিটে ফিরিয়ে দিতে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সরকার। শুক্রবার, ঢাকা সফররত মায়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ের হাতে ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা তুলে দিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
[রোহিঙ্গা সমস্যায় আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি হাসিনার]
এদিন ঢাকা সচিবালয়ে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে মায়ানমার ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বৈঠকে মায়ানমারের কাছে ১ হাজার ৬৭৩টি রোহিঙ্গা পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে। শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার আগে তাঁদের পরিচয় যাচাই করবেন মায়ানমারের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের নিয়ে ঢাকা-নাইপিদাওয়ের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠলেও ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে দুই পড়শি দেশ।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির ভিত্তিতে গঠন করা হয় ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’। গত ১৬ জানুয়ারি ওই গ্রুপের প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই মাসের শেষের দিকেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে দেশে ফিরতে চাইলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন রোহিঙ্গারা। তাঁদের অভিযোগ রাখাইনে ফিরে গেলে আবার হামলা চালাবে বার্মিজ সেনা ও মগ দস্যুরা। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফিরতে চাইছেন না উদ্বাস্তুদের অনেকেই। ইরিমধ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য মায়ানমারের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
[রোহিঙ্গা শিবিরে পাচারকারীদের ফাঁদ, খপ্পরে কিশোরীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.