সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দফায় দফায় রাজাকরদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক।
রবিবার, রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে জানানো হয় যে, ইতিমধ্যেই চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯ জন, শরীয়তপুরে ৪৪ জন, বাগেরহাটে ১ জন ও নড়াইল থেকে ৫০ জন রাজাকারের তালিকা মন্ত্রকে এসে পৌঁছেছে। খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনও বেতনভোগী রাজাকার ছিল না। সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪ হাজার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুজিব বর্ষে’ মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা ও জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা নেওয়া রাজাকরদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। গত ২৫ আগস্ট সংসদীয় কমিটিকে রাজাকরদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, বিএনপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজাকর ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী হসিনা। তাঁর আমলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত বর্বর পাকপন্থী জামাত নেতাকে। অভিযানে নিকেশ করা হয়েছে শতাধিক জঙ্গি ও মাদক পাচারকারীকে। সব মিলিয়ে মৌলবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর হাসিনা। তবে সরকার কড়া পদক্ষেপ করলেও মৌলবাদীদের প্রভাব সেই অর্থে শেষ হয়ে যায়নি। বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেতের বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে জেএমবি ও নব্য জেএমবি জঙ্গ সংগঠনগুলি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে শিকড় জমানোর চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।
[আরও পড়ুন: রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর ৪ জঙ্গি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.