সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাংসদ তথা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য মোশারফ হোসেনকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সাংসদ শাজাহান খান ও মহম্মদ রশিদুল আলম। তাঁরাও ওই কাউন্সিলের সদস্য। যেসব কারণে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (Ziaur Rahman) খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের খুনিদের মদত দেওয়ার মতো অভিযোগ। এছাড়া, হত্যাকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা, বিভিন্ন সময় খুনিদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষার অভিযোগও রয়েছে জিয়ার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ‘বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের দেশ থেকে পালাতে মদত ও মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজন নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করার অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির (BNP) প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকার জিয়াকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়। কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’কে হত্যার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন খোদ জিয়া। শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পিছনে তদানীন্তন সেনাবাহিনীর উপপ্রধান কর্মকর্তা ও পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman) প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেছিলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু জাতির পিতা যাদের বিশ্বাস করেছিলেন ভাল বেসেছিলেন তারাই তাঁকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.