Advertisement
Advertisement

Breaking News

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় বন্ধ হল 3G ও 4G পরিষেবা

রোহিঙ্গাদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন হাসিনা সরকার।

Bangladesh Govt. cuts 3G and 4G service in Rohingya camps

ফাইল ফটো

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 11, 2019 7:36 pm
  • Updated:September 11, 2019 7:36 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা 3G ও 4G অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটি এ পদক্ষেপ করতে সোমবার রাতে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার অপারেটরগুলো তা কার্যকর করে। বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু ক্যাম্প এলাকায় 3G ও 4G বন্ধ থাকবে।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দাপাদাপিতে ত্রস্ত হাসিনা সরকার, সংখ্যালঘু হওয়ার আশঙ্কা বাংলাদেশিদের]

এদিকে মানবিক কারণে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গারা দিন দিন বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত ২৪ আগস্ট লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এক সমাবেশে যোগ দিয়ে বিশাল শোডাউন করে। এটা দেখেই সরকারকে ভাবিয়ে তোলে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা 3G ও 4G অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ সব ধরনের অমানবিক ও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তাদের এমন অপরাধমূলক কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো। এনজিওগুলোই এখন রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।

Advertisement

কোনও কোনও এনজিও নগদ অর্থ বিতরণ করে পরোক্ষে অস্ত্র সংগ্রহে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে। এ অবস্থায় দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার বিষয়টি শুরুতে স্বাভাবিক ছিল। আর তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার বিষয়টি সবার নজরে আসে গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নির্যাতনের দুই বছর পূর্তিকালে। ২৬ আগস্ট উখিয়ার কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কে কামারের দোকানে বানানোর সময় রোহিঙ্গাদের সরবরাহের জন্য তৈরি করা ছয় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র (ধারালো নিড়ানি) উদ্ধার করে প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের উপর ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে বাংলাদেশের, দাবি মার্কিন সাংবাদিকের]

রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের নিজ দেশে মায়ানমারে ফিরে যাবে আশা প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরে কোথায় থাকবে এটি বাংলাদেশের দেখার বিষয় নয়। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে ‘২০৩০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা বলেন। সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ির জায়গায় সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরে কোথায় থাকবে সেটা মায়ানমারের বিষয়। তবে বাংলাদেশ যে জোর করে পাঠাতে চায় না সেটাও জানিয়ে দেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যার সমাধান মায়ানমারের হাতে।

রোহিঙ্গারা নানাভাবে সিম সংগ্রহ করে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি গত ৩ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা 3G ও 4G পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেয়। এরপর তা পুরো সময়ের জন্য বন্ধের নির্দেশ এল। 3G ও 4G পুরোপুরি বন্ধের ফলে ওই এলাকার আর দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement