Advertisement
Advertisement
Bangladesh

‘পশ্চিমবঙ্গে যেই ক্ষমতায় থাকুক সুসম্পর্ক থাকবে’, বার্তা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর

দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Bangladesh foreign minister Momen opens up on TMC;s victory in West Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 4, 2021 10:15 am
  • Updated:May 4, 2021 12:12 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হলেও দলকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়েছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বার্তা দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পদ্মায় দুর্ঘটনা, ফেরির সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষে মৃত অন্তত ২৫]

সোমবার অর্থাৎ গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, “নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক থাকবে।” নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজয়ী হওয়ায় তিস্তা চুক্তি ফের ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে কি না, জানতে চাইলে বিদেশমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, “আমরা আগের মতোই আমাদের কাজ করে যাব। আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়েছে। তবে সরকার যেই গড়ুক, আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।”

Advertisement

রাজ্যের ২৯৪ আসনে তিনিই প্রার্থী। ষোলোর নির্বাচনের মতোই ভোটের আগে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে স্থানীয় স্তরে অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কাজ করছিল। ছিল দুর্নীতির অভিযোগও। স্থানীয় নেতাদের সেই ভাবমূর্তি আড়াল করতে নিজের ভাবমূর্তিকেই বাজি ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া, বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি ব্র্যান্ডের নাম। বিজেপি তাঁর সমকক্ষ কাউকে দাঁড় করাতে পারেনি। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে সেই ব্র্যান্ড মমতা এবং বিজেপির মুখের অভাবই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে মূলত মেরুকরণের ভোট হওয়ায় তৃতীয় বিকল্পের কথা মানুষ ভাবেনি। বিজেপিকে আটকাতে বাম এবং কংগ্রেসের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভোটাররা সেরা বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন তৃণমূলকেই।। কংগ্রেসের ভোট প্রায় পুরোপুরি তৃণমূলে চলে গিয়েছে। বাম (Left) এবং কংগ্রেসের জোটকে ২০১৬ সালেই প্রত্যাখ্যান করেছিল মানুষ। আইএসএফ যোগ হওয়ায় প্রত্যাখ্যানের মাত্রাটা বেড়েছে। বাম-কংগ্রেসের ভোটের বেশিরভাগটাই গিয়েছে তৃণমূলের ভোটবাক্সে। আর সেটা বিজেপিকে আটকানোর স্বার্থেই।

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ভারতের সাহায্যে এগিয়ে এল বন্ধু বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement