Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশ

মারণ কামড় বসাচ্ছে করোনা, দেশীয় চিকিৎসায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই বাংলাদেশের

প্লাজমা থেরাপির সফলতায় আশাবাদী চিকিৎসকরা।

Bangladesh fighting coronavorus pandemic on its own
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 18, 2020 5:25 pm
  • Updated:May 18, 2020 5:25 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের হামলায় বাংলাদেশে চলছে মৃত্যুমিছিল। প্রবল চাপে পড়েছে দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামো। তবুও বিদেশি মোড়তের উপর আস্থা না রেখে দেশি প্রযুক্তিতে তৈরি ওষুধ, সম্ভাব্য টিকা ও করোনারোধী কাপড় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে প্লাজমা থেরাপির সফলতায় আশাবাদী চিকিৎসকরা। পাশাপাশি উন্মোচন হয়েছে ভাইরাসের জিনোম রহস্য। দেশে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ওষুধের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে ভাইরাসটির গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা। এই জিন রহস্য আবিষ্কারের গবেষণায় নেতৃত্ব দেন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ড. সেঁজুতি সাহা।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরেও করোনার থাবা, দুশ্চিন্তায় হাসিনা প্রশাসন]

এদিকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. তারেক আলম দাবি করেছেন, অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাবে। তবে এ তথ্য ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ওষুধের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের দুটি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভির ওষুধের নমুনা জমা দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে।

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, “রেমডেসিভির অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ একসময় ইবোলাতে ব্যবহার হত। এখন ‘ইমারজেন্সি অথরাইজেশন’ দিয়েছে আমেরিকার দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে গণস্বাস্থ্যের কিটও। মৃত্যুরোধ এবং দ্রুত আরোগ্যের জন্য পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছে ‘প্লাজমা থেরাপি’ কার্যক্রম। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেটি প্রয়োগ করা হবে গুরুতর অসুস্থদের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৪৫ জন রোগীর ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীর ওপর উকুন কিংবা খোস-পাচড়ায় ব্যবহৃত ওষুধ ডক্সিসাইক্লিন ও আইভারমেকটিন প্রয়োগে অল্প সময়ে সুস্থ হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম ।

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে অভিনব উদ্যোগ, করোনা প্রতিরোধী কাপড় তৈরি করল বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement