Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, বেলা গড়াতেই বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনা

রাজনৈতিক সংঘর্ষের মৃত অন্তত ১৬ জন৷

 Bangladesh election violence
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 30, 2018 2:49 pm
  • Updated:December 30, 2018 8:06 pm  

সুকুমার সরকার: আশঙ্কা ছিল এবং সেই মতো মজবুত করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আটকানো গেল না সংঘর্ষের ঘটনা৷ বেলা গড়াতেই আসতে শুরু করেছে একের পর এক সংঘর্ষের খবর৷ বিএনপি ও আওয়ামি লিগের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের৷ আহতের সংখ্যা অনেক৷

[বাংলাদেশে একই দিনে ভোটগ্রহণ ও গণনা, বেনজির পদক্ষেপ ইসি-র   ]

Advertisement

রবিবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাঙামাটি এলাকায় সংঘর্ষের জড়ায় আওয়ামি লিগ ও বিএনপি সমর্থকরা৷ সংঘর্ষে নিহত হন যুব লিগের সাধারণ সম্পাদক বাসেরুদ্দিন। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একাধিক ককটেল বোমা বিস্ফোরণ হয়৷ ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রাজশাহীর মোহনপুরের পাকুড়িয়া হাইস্কুল কেন্দ্রেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীরা৷ সেখানে আওয়ামি লিগের এক কর্মী মেরাজউদ্দিনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে৷ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোট ন’জন৷ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে ব্রাহ্মণবেড়িয়াতেও৷ সেখানকার রাজঘর গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইসরাইল মিঁয়া নামের একজনের।

আওয়ামি লিগ ও বিএনপির সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালি উলুদিয়া এলাকায় মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ আবদুল্লা নামের এক নিরীহ ভোটারের৷ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও সাতজন। রক্তপাত হয়েছে চট্টগ্রামেও৷ সেখানকার পটিয়া ও বাঁশখালী এলাকায় সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের৷ মৃতদের নাম আবু সাদেক ও আহমেদ কবির৷ কুমিল্লাতেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের৷ বেলা গড়াতেই কুমিল্লার চান্দিনা ও নাঙ্গলকোটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালায় পুলিশ৷ সেই গুলিতেই চান্দিনায় মৃত্যু হয় মজিবুর রহমানে এক ব্যক্তির। আর নাঙ্গলকোটে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাচ্চু মিঁয়া নামের এক বিএনপির সমর্থকের। নরসিংদীর জেলার শিবপুরের কুন্দারপাড়ায় নিহত হয়েছেন আওয়ামি লিগের এক এজেন্ট৷ নাম মিলন মিঁয়া। বগুড়ার কাহালুতে ভোটকেন্দ্রের সামনে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে যুবলিগ নেতা আজিজুল।

[‘এই কুফরি নির্বাচন বন্ধ কর’! মেসেজ পাঠিয়ে ঢাকায় নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি]

পাশাপাশি, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে ঘিরে দেশে উৎসবের আবহ থাকার কথা। কিন্তু মানুষের মনে সংশয় রয়ে গিয়েছে। আমি ভোটারদের বলব, আপনারা ভয় পাবেন না।’’ রবিবার সকাল আটটার নাগাদ ঢাকার সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন বাংলাদেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবারও সরকারে ফেরার বিষয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী বলেই জানান মুজিব কন্যা৷ ভোটদান শেষে এদিন হাসিনা বলেন, ‘‘নৌকার বিজয় হবেই। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে তাদের রায় দেবে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement