ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি নামখানা, কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবীর উপর অত্যাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হতেই চাপে ইউনুস সরকার। এনিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হতেই পালটা ‘মিথ্যাচার’-এর পথে হাঁটল ঢাকা। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, এখানকার জেলে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, সাজানো। আন্তর্জাতিক বন্দি সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই জেলে তাঁদের সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের আরও আর্জি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বার্থে, উভয়ের সদ্ভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এধরনের অভিযোগকে যেন গুরুত্ব দেওয়া না হয়।
গত অক্টোবরে কাকদ্বীপ, নামখানার ৬টি মাছ ধরার ট্রলার-সহ মোট ৯৬ জন মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে সে দেশের নৌবাহিনীর হাতে আটক হন। একজন জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাকি ৯৫ জনকে নিয়ে পটুয়াখালির জেলে রাখা হয়। অবশেষে দুদেশের মধ্যে আলোচনা ক্রমে মৎস্যজীবীদের মুক্তি দেওয়া হয় সোমবার। গঙ্গাসাগরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে তিনি অভিযোগ তোলেন, বাংলাদেশের জেলে তাঁদের উপর অত্যাচার হয়েছে। সোমবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে তিনি বললেন, ”আমি তাঁদের সঙ্গে দেখা করব বলে সবাই এখানে এসেছেন। খেয়াল করলাম, কয়েকজন একটু খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন খুঁড়িয়ে হাঁটছেন? তাঁরা কেউ কিছু আমাকে বলেননি। আমি খবর নিয়ে জানতে পারলাম, ওঁদের জেলে মারধর করা হয়েছে। পা-কোমরে চোট লেগেছে। চোখে জল এসে যাওয়ার মতো ঘটনা।”
পরে মৎস্যজীবীরাও প্রকাশ্যে নিজেদের উপর অত্যাচারের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, নগ্ন করে হাত-পা পিছমোড়া করে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাতে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছে ঢাকা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হল, এসব অভিযোগ সাজানো। তাঁদের উপর কোনও অত্যাচার করা হয়নি। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সবরকম চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। দেশে ফিরে তাঁদের এধরনের অভিযোগ আদতে দুদেশের সম্পর্ককে তিক্ত করতে তোলার পক্ষে যথেষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.