ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকার (Dhaka) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বড়সড় চুরির ঘটনায় তিনজনকে মোট ৮ বছরের কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের (Bangaldesh) আদালত। বছর ১২ আগের এক রাতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কার্যত ডাকাতি হয়। ২০০ ভরি সোনা-সহ টাকা চুরির মামলায় তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সোমবার তাদের সাজা ঘোষণা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের এজলাসের নির্দেশ, দুই আলাদা মামলায় চার বছর করে মোট ৮ বছর কারাবাসে থাকতে হবে। এছাড়া আর্থিক জরিমানা ও অনাদায়ে আরও চার মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি (Theft) হয়। প্রায় ২০০ ভরি সোনা, নগদ ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও পাঁচ-ছ’ ভরি রুপো নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরদিনই রাজধানীর চকবাজার থানায় অভিযুক্ত সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের মামলা দায়ের করেন মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির তৎকালীন সভাপতি বীরেশচন্দ্র সাহা। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ছ’জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফ হোসেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয় তিনজন।
সোমবার তাদের সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে আলাদা দুই ধারায় ৪ বছর করে আট বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪০০০ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৪ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির হোসেন, গরিব উল্লাহ ওরফে আসলাম ও মনিরুল। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি শাহ আলম, সবুজ আহমেদ ও সেলিমকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় আসামিদের চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা-সহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.