ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) লাগাতার বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে ডেল্টা স্ট্রেনের প্রকোপে চলছে মৃত্যুমিছিল। এহেন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকায়র শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু ঘিঞ্জি শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০জন রোহিঙ্গার। আক্রান্ত কমপক্ষে ২ হাজার শরণার্থী। সংক্রমণ রুখতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এবার রোহিঙ্গা শিবিরে মারণ ভাইরাসটির হানায় রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে জরুরি ওষুধ, খাদ্য ও গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণের কাজ চলবে। পরিসংখ্যান বলছে, ইদের পর থেকে হঠাৎ দৈনিক ২০ থেকে ৪৫ জনের মতো করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে শিবিরগুলিতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কক্সবাজারে ৩৪টি ও নোয়াখালির ভাসানচরে ১টি-সহ ৩৫টি শরণার্থী শিবিরে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তবে নোয়াখালি জেলার ভাসানচরে কোনও রোহিঙ্গার শরীরে এখনও করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে মধ্যে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ ডব্লিউ, কুতুপালং ক্যাম্প-৩, কুতুপালং ক্যাম্প-৪, জামতলি ক্যাম্প-১৫ ও টেকনাফের লেদা ক্যাম্প ২৪ শিবিরকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে শরণার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কপালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.