সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।অমর একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, কূটনীতিক-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ। এদিকে, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপনে ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও শহরবাসী যাতে গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে, সেজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শহিদ মিনারের প্রবেশ পথে রয়েছে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের এ দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজ-সহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলে। পরিস্থিতি সামলাতে সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। তাঁদের এই আত্মদান নিয়ে গান বাঁধেন শিল্পীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.