সুকুমার সরকার, ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় ইস্টার ডে হামলার ছায়া বাংলাদেশে৷ নাশকতার আশঙ্কায় এবার বাড়ানো হল একাধিক গির্জার নিরাপত্তা৷ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর থানার অন্তর্গত জলিরপাড় ইউনিয়নে প্রায় ২০টি গির্জার সুরক্ষা মজবুত করা হয়েছে৷ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকায় বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জায় উপাসনা চলার সময় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা৷ ওই হামলাই প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ জন নিরীহ মানুষ৷ বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, তৎকালীন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের আমলে উত্থান হয় মৌলবাদের৷ নয়ের দশকে ও এই শতাব্দীর শুরুতে জন্ম নেয় হরকত-উল-জেহাদি-ইসলামি, ইসলামিক সমাজ, হিজবুত তাওহিদ-এর মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন৷ তারপর থেকেই দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা৷ আওয়ামি লিগের আমলেও গুলশন হামলার মতো দেশে একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে জেহাদিরা৷ এহেন পরিস্থিতিতে দেশে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের উপর হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷
আগামী ১৮ মে বুদ্ধপূর্ণিমাকে নজরে রেখে যে কোনও প্রকারের নাশকতা এড়াতেই গির্জাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জার যাজক জেরম রিংকু গোমেজ বলেন, “রবিবার সকাল থেকেই গির্জার চারপাশে পুলিশকর্মীরা টহল দিচ্ছেন। আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি৷ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে এদেশে নিরাপদে বসবাস করতে চাই। এটাই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।” উপজেলার সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলমগির হোসেন বলেন, “গির্জাগুলির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমরা তৈরি।’’ মকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানিয়েছেন, “গোপালগঞ্জের জলিরপাড় ইউনিয়নের ২০টি গির্জায় আমরা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। যাজকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বুদ্ধপূর্ণিমাকে সামনে রখে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আশা করি, এখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যর্পণে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সাহায্য চায় ঢাকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.