Advertisement
Advertisement
Bangladesh

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাত, কোটা আন্দোলনের পর কড়া পদক্ষেপ হাসিনা সরকারের

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জামাত-ই- ইসলামি ও ইসলামি ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Bangladesh bans Jamaat-e-Islami
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 1, 2024 7:40 pm
  • Updated:August 1, 2024 7:44 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জামাত-ই- ইসলামি ও ইসলামি ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জামাত-শিবির ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে ধ্বংসের চেষ্টা করবে’ আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি আরও বলেন, “এদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ঢাকায় কৃষক লিগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সতর্কবার্তা দেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, “এরা জঙ্গিবাদী হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সেখানেও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদের মোকাবিলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকতে এবং তাদের সহযোগিতা চাই। আমি জানি বার বার আঘাত আসবে, আমি পরোয়া করি না। মানুষের কল্যাণের কাজ আমরা করেই যাব।”

এদিকে, জামাত-ই-ইসলামি এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারির পর ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামাত-ই-ইসলামি, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এই দলগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হিংসার ঘটনায় জামাত ও তার ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ আসে নানা মহল থেকে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ওয়ানড়ে যাচ্ছেন ২ তৃণমূল সাংসদ, বিপর্যস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস মমতার]

গত সোমবার আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় সভায় জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন জোটের শীর্ষ নেতারা। আওয়ামি লিগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সেই বৈঠক হয়। আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামাতের নিবন্ধন বাতিল করে। জামাতের পক্ষ থেকে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামাতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেয়। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামাতের একাধিক শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে।

জামাত-ই-ইসলামি ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কমিটির এক যৌথ সভায় সংগঠনটির নেতারা এ প্রতিক্রিয়া জানান। বলা হয়, শুধু দল বা সংগঠন হিসেবে নয়, জামাতের আদর্শিক ভিত্তি, অর্থাৎ মৌলবাদী রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ শহিদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।

[আরও পড়ুন: ‘আমরা রিল বানাই না, কঠোর পরিশ্রম করি’, বিরোধীদের ‘রিল মিনিস্টার’ কটাক্ষের জবাব রেলমন্ত্রীর]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement