ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে চলছে মৃত্যুমিছিল। প্রবল চাপের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে ইদ উপলক্ষে সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েই দোকানপাট খুলছেন ব্যবসায়ীরা।
মে মাসে থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই সতর্কবার্তাকে সত্যি প্রমাণিত করে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যেই শুরু হচ্ছে ইদের কেনাকাটা। আর আতঙ্ক নিয়েই দোকান খুলতে যাচ্ছেন মালিক-কর্মচারীরা। তবে দোকান খোলার আগেই রাস্তায় বেড়েছে মানুষের সমাগম। দোকান খোলার অনুমতির কথা শুনে মালিক ও কর্মচারীরা গ্রাম থেকে শহরে ফিরছেন। কোথাও দোকান পরিচ্ছন্ন করছেন। আবার কোথাও কোথাও সময়ের আগেই দোকান খোলা শুরু হয়েছে। গত সোমবার, শর্তসাপেক্ষে কিছু দোকানপাট ও ক্ষুদ্র শিল্প খোলার অনুমতি দেন প্রধানমঅন্তরী শেখ হাসিনা। ইদের কথা মাথায় রেখে আগামী ১০ মে থেকে শপিং মল ও দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে বেচাকেনা হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, ‘যেহেতু স্বাভাবিকভাবেই এখন মার্কেট খোলা হয়েছে, গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, দোকানপাটে আনাগোনা বাড়ছে, কাজেই সংক্রমণ যে বৃদ্ধি পাবে, এটা আমরা ধরেই নিতে পারি।’
তবে ঢাকার সবচেয়ে বড় দুই বিপণি বিতান বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার সিটি কর্তৃপক্ষ ইদের আগে ব্যবসা শুরু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা (তথ্য ও গণমাধ্যম) মহম্মদ আবু তৈয়ব স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। এতে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে সিলেট নগরে কয়েক দিন ধরে মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নিজেদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী। দুটি বিপণি বিতানে আটটি পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সুকোমল রায় বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছি না।’ আর ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিপণিবিতান খোলার সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.