Advertisement
Advertisement
Bangladesh

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা

অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।

Bangladesh announces 3 day mourning to pay homage to Queen Elizabeth II | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 9, 2022 2:43 pm
  • Updated:September 9, 2022 2:43 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করল বাংলাদেশ। শুক্রবার থেকে তিনদিন অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। দেশের প্রধান তথ্যসম্প্রচার আধিকারিক মহম্মদ শাহনুর মিয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধানে হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন। উদ্বাস্তুদের জন্য প্রচুর আর্থিক মদতও দিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট। ফলে রানির মৃত্যুতে বাংলাদেশেও গভীর শোকের ছায়া নেমেছে। তাই পতাকা অর্ধনমিত করে রানির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে ঢাকা বলেই মত বিশ্লেষকদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভারতের কাছে যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি’, বিএনপিকে তোপ আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদকের]

গতকাল, বৃহস্পতিবার লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Elizabeth II। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বাকিংহাম প্যালেস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। কয়েকমাস আগেই তাঁর সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদ্‌যাপন করা হয়। ব্রিটেনে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় মসনদে থেকেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছিল।

রাজপরিবারের দায়িত্বভার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন আগে তাঁকে বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবরাজ উইলিয়ামের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে রাখা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছিলেন তিনি। ব্রিটেনের প্রথা ভেঙে বাকিংহ্যাম প্যালেসের বাইরে থেকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করা হয়। আচমকাই রানির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রিভি কাউন্সিলের বৈঠকও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের রানি হিসাবে অভিষেক হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রাজপরিবারের সরাসরি উত্তরাধিকারী হওয়ার সূত্রেই তাঁর মাথায় উঠেছিল রানির মুকুট। ব্রিটেনের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার পাশাপাশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল রানির সাজপোশাকও। মাঝে মাঝে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কার্যকলাপের ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হলেও রাজপরিবারের হাল ধরেছেন দক্ষ হাতে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রিটেনে নেমে এল শোকের ছায়া।

[আরও পড়ুন: ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর, পুজোর আগেই বিপুল পরিমাণে পদ্মার ইলিশ আসছে ভারতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement