সুকুমার সরকার, ঢাকা: হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু সেই আমলেও হেনস্তার শিকার হলেন সমালোচিত গায়ক-নায়ক আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আদালত চত্বরে হামলার মুখে পড়লেন তিনি। হিরো আলমকে গণধোলাই, কান ধরে ওঠবস করানো হল! রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশের উত্তরের জেলা বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এই কাণ্ড ঘটেছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কটূক্তির করার অভিযোগ তুলে একদল যুবক হিরো আলমের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। হামলাকরীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি এখনও।
রবিবার দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারের সময় তাঁকে মারধর ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় ৫ থেকে ৭ জন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা হিরো আলমকে বেধড়ক মারধর করে আদালত চত্বরের বাইরে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে কান ধরে ওঠবস করায় বলে অভিযোগ।
মারধরের পর সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, ”এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হল। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। যদি কেউ তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির ফুটেজ দেখাতে পারে, তবে আমি জুতোর মালা গলায় দিয়ে ঘুরব।” হিরো আলম জানান, ”আজ যারা আমার উপর এই হামলা করেছে, তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’’ আদালতে দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলমের বক্তব্য, ”২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার উপর হামলা হয়েছে। আমার ভোট কারচুপি করা হয়েছে। এইসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.