সুকুমার সরকার, ঢাকা: ওপার বাংলা ও এপার বাংলায় গত ক’দিন ধরে প্রচুর জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ঢাকা ফিরলেন অভিনেতা ফিরদৌস। মঙ্গলবার বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানে রাত সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ায় ভারতে তুমুল সমালোচনা চলছে দু’বাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক ফিরদৌস আহমেদকে নিয়ে।আলোচনা থেকে বাদ ছিল না বাংলাদেশও। মডেল কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগে ভারতীয় ভিসা বাতিল হয়েছে তাঁর। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে বিতর্কে জড়ান ফিরদৌস। তাঁর ভিসা বাতিল করে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে কালো তালিকাভুক্তও করেছে।
ফিরদৌসের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই তিনি ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু, ফোন বন্ধ রেখেছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ফিরদৌস আহমেদের ভিসা-সংক্রান্ত আচরণ লঙ্ঘনের রিপোর্ট পাওয়ার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভিসা বাতিল করে তাঁকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে কালো তালিকাভুক্তও করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন ফিরদৌস। এরপরই তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত রবিবার রায়গঞ্জ আসনের করণদিঘি থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত তৃণমূলের প্রচার মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এলাকাটি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। রায়গঞ্জ আসনটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। জনসংখ্যার হারে মুসলিম বেশি। তাদের প্রভাবিত করতেই ফিরদৌসকে প্রচারে নামানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “তৃণমূল তো বিদেশি তারকা এনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে।” এর পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা মদন মিত্র। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই হয়েছে। এর জন্য নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনও প্রশ্ন নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.