সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী বলে কথা। দেশ ও মানুষের কথা ভেবেই সবসময় ব্যস্ততার সঙ্গে সময় অতিবাহিত করতে হয় তাঁকে। ব্যক্তিগত সাধ-আহ্লাদ পূরণের সময় পাওয়া খুবই দুষ্কর। তারপরও একটু অবসরে নিজের মতো সময় কাটাতে সকলের মতো তাঁরও তো ইচ্ছা হয়। এবার সেই ইচ্ছাই পূরণ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। সরকারি বাসভবন গণভবনের জলাশয়ে ছিপ হাতে বসে পড়লেন মাছ ধরতে (Fishing)। তাঁর ছিপে ধরাও পড়ল বড়সড় একটা চিতল মাছ! ছোট বোন রেহানার সঙ্গে হাসিনার সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে আওয়ামি লিগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।
শৈশব-বাল্যকাল কেটেছে একেবারেই অজপাড়াগাঁয়। বছরের ৮/১০ মাস যেখানে জল থাকে। চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা। বাংলাদেশের সেই গোপালগঞ্জ (Gopalganj) জেলার মেয়েই আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা।
সেই শিশু-বাল্যকালের স্মৃতি হাতড়ে একটু সুযোগ মিললেই ছিপ নিয়ে বসে পড়েন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন কাম সরকারি দপ্তর গণভবনের জলাশয়ে মাছ ধরতে বসে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি তাঁর মাছ ধরার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছিল দেশে সরকারি ছুটির দিন। ওইদিনই ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে সকালে ঢাকার (Dhaka) গণভবনের লেকে তিনি বসে পড়েন মৎস্য শিকারে। শাসকদল আওয়ামি লিগের অফিসিয়াল ফেসবুক থেকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরার তিনটি ছবি পোস্ট করা হয়। শুক্রবার সকালেই ছবিগুলো তোলা হয়। ওই ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মাছ শিকারের বড়শি। তাতে ধরা পড়েছে বড় আকারের একটি চিতল মাছ। সেই মাছ বড়শি থেকে ছাড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
দলের ফেসবুক (Facebook) পেজে শেয়ার করা ছবিগুলোর সঙ্গে একটি ক্যাপশনও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রের ও দলের কাজের শত ব্যস্ততার মধ্যেও মাসের কোনও একটি ছুটির দিন যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের জন্য অনেক আনন্দের। বিশেষ করে ছোট বোন শেখ রেহানা থাকলে তো কথাই নেই! দুই বোন ছিপ নিয়ে বসে যান মাছ ধরতে। মাঝে মাঝে বড়সড় মাছও ধরা পড়ে তাঁদের বড়শিতে। আসলে বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে বেড়ে ওঠা এক জাতি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.