Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangabandu

২৩ বছর কলকাতাতেই লুকিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত ১৬ মার্চ ভারত থেকে ঢাকায় ফেরে সে।

Bangabandu's killer Abdul Majed was hiding in Kolkata about 23 years

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:April 7, 2020 9:46 pm
  • Updated:April 7, 2020 9:48 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আবদুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় লুকিয়ে ছিল। গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফেরে সে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন খান। সোমবার রাত তিনটে ৪৫ মিনিটে সময় বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আজ বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পড়িয়ে আদালতে তোলে পুলিশ।

আবদুল মাজেদ যখন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল, তখন তার সঙ্গে কথা বলেন সরকারি আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন খান। পরে এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন? জবাবে খুনি মাজেদ বলে, ২২-২৩ বছর তিনি কলকাতায় ছিলেন। সেখান থেকে চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এরপর থেকে ঢাকাতেই ছিলেন। তাঁর এক ছেলে আমেরিকায় রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঢাকায় করোনা আক্রান্ত ইমাম, অজান্তেই অনেকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল ]

 

শুনানির সময় খুনি মাজেদের পক্ষে আদালতে কোনও আইনজীবী ছিল না। আদালতে ঢাকা মহানগর পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে সোমবার রাত ৩ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার গাবতলি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক (SI) আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘নিয়মিত টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে গাবতলি বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে সন্দেহজনকভাবে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তিকে থামান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন এবং বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদ আরও স্বীকার করে, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আরও কয়েকজন খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান মাজেদ। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাঁকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন। সেখান থেকে ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসার পর মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন জিয়া। সেসময় উপসচিব পদমর্যাদায় তিনি চাকরি করেন। আর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। পরে তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পান। সেখান থেকে যুব উন্নয়ন মন্ত্রকে পরিচালক পদে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে আত্মগোপন করেন মাজেদ। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ক্যান্টনমেন্টের আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁর চার কন্যা ও এক ছেলেও রয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনাকে হারিয়ে বেঁচে থাকুক সোনার বাংলা, মানবিক উদ্যোগে শামিল পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটাররা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement