ফাইল
সুকুমার সরকার, ঢাকা: এ যেন উলটপুরাণ। রাজনৈতিক দিক থেকে বরাবরের বিরোধী। সুযোগ পেলেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায় খড়গহস্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু সেই বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে নির্বিঘ্নে পালনের সুযোগ করে দিতে চলেছে শাসকদল। রবিবার ঢাকার (Dhaka) গণভবনে দলের শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, বিএনপি ডিসেম্বরে যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে, তা নির্বিঘ্নে পালনের সুযোগ করে দিতে হবে। তবে সেই সমাবেশ ঘিরে যেন কোনওরকম অশান্তি তৈরি না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে প্রশাসনকে। তাঁর আশঙ্কা, মহাসমাবেশকে সামনে রেখে ওইদিন পরিবহণ ধর্মঘটের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে খালেদা জিয়ার দল। সে বিষয় সাবধান করেছেন হাসিনা।
আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি ( (BNP)। ঢাকার বিখ্যাত সোহরাবর্দি উদ্যানে হবে এই সমাবেশ। তার দু’দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর ছাত্র লিগের সমাবেশ হওয়ার কথা ওই একই জায়গায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ছাত্র লিগকে নির্দেশ দেন, তাদের সমাবেশ যেন এগিয়ে আনা হয়। সেইমতো ৬ ডিসেম্বর সোহরাবর্দি উদ্যানে ছাত্র লিগের সম্মেলন হবে। সেখান থেকে ২ দিনের মধ্যে সমস্ত পোস্টার, ফেস্টুন খুলে ফেলতে হবে। তারপর ১০ তারিখ, বিএনপির মহাসমাবেশ।
খালেদা জিয়ার দলের এত বড় সমাবেশ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের (Awami League) সাধারণ সম্পাদক তথা দেশের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিয়েছেন, ওই সমাবেশে বাধা দেবে না আওয়ামি লিগ। কিন্তু তারা আগুন জ্বালাতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। তিনি কটাক্ষের সুরে আরও বলেন, ”বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও। কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপি-কে সন্ত্রাসবাদী দল ঘোষণা করেছে।”
বাংলাদেশে বিএনপির প্রতিটি সমাবেশের আগেই গণপরিবহণ থমকে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। চলমান সমাবেশগুলিতেও পরিবহণ স্তব্ধ হয়ে এমন পরিস্থিতি হয় যে তা ধর্মঘটের শামিল। তাই ১০ তারিখে মহাসমাবেশকে ঘিরেও একই আশঙ্কা থাকছে। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সতর্ক করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.