সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভাল থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সহ যে কোনও সমস্যার সমাধান সহজতর হয়। সোমবার ঢাকায় সচিবালয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নব-নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বলেন আওয়ামি লিগ সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিস্তা–সহ অভিন্ন নদীর জলবণ্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উল্লেখ করে দু’দেশ আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি সম্মানজনকভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে মন্ত্রী কাদের আশা প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, “একুশ বছর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে উভয় দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।”
বৈঠক শেষে মন্ত্রী কাদের জানান, ভারতীয় (India) ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ৯২৮টি বাস এবং ৫০০ ট্রাক সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশুগঞ্জ নদীবন্দর হতে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলেছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের রাজনৈতিক দলের মাঝে সংযোগ বাড়াতে ভারতীয় জনতা পার্টি’র একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ধরনের সফর দু’দেশের জনগণের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি এদিন আশা প্রকাশ করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.