সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর থেকে আরও পিছানো হবে কিনা- এনিয়ে তুমুল কাজিয়া শাসকদল আওয়ামি লিগ বনাম বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিএনপি জাতীয় নির্বাচন পিছানোর যে দাবি করেছে তা অযৌক্তিক ও অবাস্তব।’ মঙ্গলবার দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ঢাকার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবিদক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়েও পুরনো নালিশের অভ্যাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে বিএনপি। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’ এদিকে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও পিছিয়ে দিতে বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে যাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার ঢাকার মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে এ কথা জানান ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বুধবার ১২টায় আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যাব। এ সময় জাতীয় নেতারাও যাবেন। আমরা একাদশ নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে আবারও অনুরোধ করব। আশা করছি নির্বাচন কমিশন আমাদের কথা রাখবেন।’
[বিরোধীদের দাবি মেনে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন]
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে এক মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কমিশন নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা হতাশ, দেশবাসীও হতাশ।’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ দিনটিতে বড়দিনের ছুটি থাকে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি বিশেষ। এ দিন তাদের জন্য উৎসবের। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচন আর পিছানোর কোনও উপায় নেই। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। এটা একেবারে কমপ্যাক্ট টাইম। এই তারিখকে সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।’ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় সিইসি এ কথা বলেন। সিইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। প্রার্থী ও দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। আইনের মধ্য থেকে তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন এবং সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কোনও কাজ যেন ভোটারদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি না করে।’
[খালেদাকে জেলে রেখেই নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা বিএনপি-সহ ঐক্যজোটের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.