Advertisement
Advertisement
Bangladesh

হাসিনার ইস্তফার পরও জ্বলছে বাংলাদেশ! ‘খুন’ অন্তত ২০, অস্ত্রাগার লুঠ

হিংসার আগুনে জ্বলছে 'বঙ্গবন্ধু' মুজিবর রহমানের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

At least 20 murdered in Bangladesh after Seikh Hasina resigned
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 5, 2024 11:29 pm
  • Updated:August 6, 2024 12:23 am  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোটা বাতিল হয়েছে। শেখ হাসিনা গদিচ্যুত। ছেড়েছেন দেশও। তবু বাংলাদেশে হিংসা থামেনি। থেকে থেকেই জ্বলছে আগুন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পড়শি দেশে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। কোথাও আওয়ামি লিগের নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তো কোথাও আবার পিটিয়ে মারা হয়েছে গোটা পরিবারকে। সবমিলিয়ে সোমবার রাত অবধি হিংসার আগুনে জ্বলছে ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবর রহমানের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

দুপুরে যশোর জেলায় বিজয় মিছিল বের করে উন্মত্ত জনতা। সেই মিছিল থেকেই আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের পাঁচতারা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে ভাঙচুর করে। আগুনও ধরিয়ে দেয়। সেখানে পুড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কোনও বিদেশি পর্যটক ছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। চুয়াডাঙার সিনেমা হল পাড়ায় জেলা যুবলিগের প্রাক্তন কনভেনার আরেফিন আলমের বাড়িতে দেওয়া আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে লাশ এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: Bangladesh Live Updates: সেনা সমর্থিত সরকারকে সমর্থন নয়, সাফ জানাল আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা]

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তথার বিজিবির সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার সময় দুটি বাসে হামলা হয়। বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীরা বিজিবির কয়েকজন সদস্যকে আটক করে রেখেছেন বলে খবর। বরিশালের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ওই বাড়ি থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার হয়েছে।

দেশজুড়ে আক্রান্ত আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থক তথা নেতারা। চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তাঁর ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। 

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি-জয়শংকর জরুরি বৈঠক, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কী বললেন রাহুল?]

অন্যদিকে শেরপুর জেলা সংশোধনাগারে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জেলে থাকা  থাকা ৫১৮ বন্দি পালিয়ে যায়। কারাগারে থাকা অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী লুটও করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement