Advertisement
Advertisement
Rohingya

আন্দামান সাগরে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবি, ডুবে মৃত্যু অন্তত ১৮০ রোহিঙ্গার

শ্রীলঙ্কা উপকূলের এই দুর্ঘটনা বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে।

At least 180 Rohingyas drowned in a boat that carried refugees in the Andaman Sea | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 27, 2022 5:05 pm
  • Updated:December 27, 2022 5:12 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাধারণ রোহিঙ্গাদের (Rohingya) আপদ-বিপদেরও কোনও শেষ নেই। পদে পদে বাধা, বিপত্তি। সঙ্গী দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মৃত্যুমিছিল। এবার বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির কক্সবাজার থেকে মালয়েশিয়াগামী নৌকায় আন্দামান সাগরে (Andaman Sea) সলিলসমাধি হয়ে অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গা মৃত্যু হয়েছে বলে মিলল মর্মান্তিক খবর। জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে পাড়ি দিয়েছিল শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা। কিন্তু ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে সেই নৌকার যাত্রীদের সঙ্গে আর কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিখোঁজ ছিল নৌকাটি। তা ডুবে গিয়ে যে যাত্রীদের সলিলসমাধি হয়েছে, সেই আশঙ্কা ছিল রাষ্ট্রসংঘেরও।

এবার শেষপর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। জলে ডুবে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর (Refugees)। এখনও বহুজন নিখোঁজ। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। এ নিয়ে যথারীতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহু যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। সম্ভবত তা ৮ তারিখের আশেপাশে কোনও সময়ই হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বঙ্গ নেতাদের উপর নেই ভরসা! নতুন বছরে ঘনঘন রাজ্যে আসবেন শাহ-নাড্ডা]

শ্রীলঙ্কা উপকূলের মৎস্যজীবীরা নৌকাডুবির কথা জানতে পেরে উপকূলরক্ষীদের খবর দেন। তাঁরা গিয়ে উদ্ধারকাজ চালান। ততক্ষণে অবশ্য সমুদ্রে ১৮০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সলিলসমাধি হয়ে গিয়েছে। নৌকাটির আর কোনও যাত্রীই বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহেও ভারতের উপকূলে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নৌকায় ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নৌকাটিতে ১০০ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূল থেকেও ১০৪ জন রোহিঙ্গা-সহ একটি নৌকা উদ্ধার করেছিল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। তবে আন্দামান সাগরের এই নৌকাডুবি বছরের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের আরজি খারিজ, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল]

বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের আশ্রিত শরণার্থী শিবিরে নিজের দেশের মানুষের হাতেই প্রাণ যাচ্ছে মাঝিদের। তরুণী-কিশোরীদের শারীরিক নির্যাতনই নয়, একেবারে পাচার করে দেওয়া হয় বিদেশের পতিতালয়গুলোতে। ২০১৭ সালে মায়ানমার জুন্টা (JUNTA) সেনার হাত থেকে জীবন বাঁচাতে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় শিবিরে গিয়ে ওঠেন। তারও আগে এসেছে চার লাখ রোহিঙ্গা। এখানে জন্মগ্রহণ করেছে আরও দেড় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশু। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষাধিক। এরপরও মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার দৌড় অব্যাহত।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement