সুকুমার সরকার, ঢাকা: অশান্তি এড়াতে দুর্গাপুজোয় উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার৷ রাজধানী ঢাকার ২৩০টি ও গোটা বাংলাদেশে ২৯ হাজারের মতো দুর্গাপুজো হয়৷ উৎসবের দিনগুলিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপদে, নিশ্চিন্তে পুজো উদযাপনের আহবান জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মহম্মদ আসাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে কঠোর ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ আপনারা নিশ্চিন্তে, নিরাপদে উৎসব চালিয়ে যান৷ বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের পাশে আছে৷’’
পুজোর আগে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকা হয়৷ বৈঠকে পুজো কমিটি ও হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷ দীর্ঘসময় ধরে চলে এদিনের এই বৈঠক৷ বিশৃঙ্খলা এড়াতে এদিন মণ্ডপের গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়৷ যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়৷ কেউ মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পুলিশের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার-দমনপীড়ন রুখতেই পুলিশের এই হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে৷
[ভারতে কোনও অবৈধ বাংলাদেশি নেই, দাবি হাসিনার]
এদিনের এই বৈঠকে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, প্রত্যেক পুজোমণ্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা, মণ্ডপের ভিতরে ও বাইরে জেনারেটরসহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি বসানো, পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা, এসবি, পুলিশ ও ব়্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করা ও বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে৷ এছাড়াও মণ্ডপ কেন্দ্রিক কোন হকার ও ভ্রাম্যমান দোকান বসাতে দেওয়া হবে না বলেও এদিন পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.