সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র (Cyclone Asani) প্রভাব পড়তে চলেছে দুই বঙ্গেই। ঝড় না হলেও প্রবল বৃষ্টিতে ভিজবে ওপার বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায় সোমবার দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। বাংলাদেশের (Bangladesh) আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহম্মদ ছানাউল হক মণ্ডল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আপাতত ওড়িশা উপকূলমুখী। দুপুরের পরে সঠিক গতিপ্রকৃতি বোঝা যাবে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনায় এদিন মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। একে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া (Storm) হিসেবেই চিহ্নিত করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের অনুমান, এর গতিবেগ ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সমুদ্র রীতিমতো ফুঁসছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র গতিপথ উত্তর-পশ্চিম দিকে। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছে যে কোনও এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। সকাল ছ’টা থেকে পরবর্তী ছ’ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ছিল মেঘাচ্ছন্ন। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মেঘলাই থাকবে আকাশ। অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে ‘অশনি’। আপাতত দক্ষিণ পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপাসরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। কিন্তু তার প্রভাবে সোমবার বেলা বাড়তেই থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। সকালে যদিও রোদের দেখা মিলেছিল। তবে মুহূর্তে তিলোত্তমার আবহাওয়া পরিবর্তন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.