Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ছাত্রলিগের সংঘর্ষে তপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার নানা দেশীয় অস্ত্র, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

Arms recovered from Chittagaong University after clash between two groups of Chattra League | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 10, 2022 6:45 pm
  • Updated:August 22, 2022 2:56 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো জ্ঞানার্জনের পীঠস্থান। পড়াশোনা করার জন্যই সেখানে ভরতি হন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই যদি উদ্ধার হয় অস্ত্রশস্ত্র, তবে তো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। ঠিক যেমনটা হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (Chittagaong University)। এবার দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর নগর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানে উদ্ধার হল বেশ কিছু অস্ত্র (Arms)।

বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলিগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর ২টি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া জানান, বুধবার মাঝরাতে পুলিশের সহযোগিতায় সোহরাওয়ার্দি হল ও শাহ আমানত হলে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সোহরাওয়ার্দি হল থেকে রামদা, ভাঙা কাঁচের বোতল ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প এবং শাহ আমানত হল থেকেও রামদা, মদের বোতল, লোহার পাইপ ও রড উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যের ফলের পর গেরুয়াময় ভারতের মানচিত্র, এক নজরে দেখে নিন কার দখলে কোন রাজ্য]

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনসার্টে ঢুকতে না দেওয়ায় এই ২ উপপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া – পালটা ধাওয়া ঘটে। একদিনের ব্যবধানে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলিগের ২ উপপক্ষের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিবদমান দুটি উপপক্ষ হল, বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)।

[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে যোগীর ঐতিহাসিক জয় কোন ম্যাজিকে? রইল ৫ কারণ]

বিজয় ও সিএফসি উভয় গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসাবে পরিচিত। প্রোক্টর রবিউল হাসানের ভাষ্য মতে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলিগের রাজনীতি ২ ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। এই ২টি পক্ষের আবার ১১টি উপপক্ষ আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement