সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ঢাকা সফরের সময় থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) যে প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে, তার পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) হাত! এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বিষয়টির দিকে নজর রেখেছে।
গত ২৬ ও ২৭ মার্চ বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ও মুজিববর্ষ পালন ঢাকা যান তিনি। সেই সময় জামাত ও বিএনপি প্রতিবাদ শুরু করেছিল। এর মধ্যে পাকিস্তানের চক্রান্ত রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সংসদের তরফে এক টুইটে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান দূতাবাস ও হেফাজত-এ-ইসলামের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে। প্রসঙ্গত, কট্টরপন্থী হেফাজতই প্রথম এব্যাপারে প্রতিবাদ শুরু করার ডাক দিয়েছিল। সেই সময়ই বাংলাদেশ সংসদের ইঙ্গিত ছিল, ওই প্রতিবাদ শুরুর করতে গোপনে আর্থিক মদত জুগিয়েছে ঢাকার পাক দূতাবাসও। একে আইএসআইয়ের চক্রান্ত বলে তোপ দেগে তার নিন্দাও করা হয় সেই টুইটে।
গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ মার্চ ছিল মোদির বাংলাদেশ সফর। করোনা মহামারীর পর প্রথম বিদেশ সফরে দেশে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মোদি সে দেশে পৌঁছনোর পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৌলবাদী ও কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নির্যাতনে মদত দিচ্ছেন মোদি। সেই হিংসা মোদি বাংলাদেশ ছাড়ার পরেও চলতে দেখা গিয়েছিল। অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। এর মধ্যে কেবল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মারা যান ৭ জন।
অনেকেরই দাবি, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির হয়ে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো সেরে বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়াতেও যান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। দেশে ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে একাধিক প্রকল্প নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। সব মিলিয়ে মোদির সফরে নতুন মাত্রা পেয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.