Advertisement
Advertisement
Amnesty

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ, হিন্দু নির্যাতনে তোপ অ্যামনেস্টির

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

Amnesty slams Bangladesh over attack on Hindus | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 20, 2021 11:38 am
  • Updated:October 20, 2021 2:11 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় ও তার পরে একাধিক জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। হাসিনা প্রশাসনের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ (Bangladesh) বলেও তোপ দেগেছে অ্যামনেস্টি।

[আরও পড়ুন: ‘ধর্মনিরপেক্ষ বললেও সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে কোনও ব্যবস্থাই নেননি হাসিনা’, তোপ তসলিমার]

অ্যামনেস্টির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও হামলায় জড়িত দুষ্কৃতীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করুক বাংলাদেশ সরকার।’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি সাদ হামমাদি বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়, তাঁদের ঘরবাড়ি, মন্দির ও পুজোমণ্ডপে বিক্ষুব্ধ লোকজনের উপরে হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গত কয়েক বছরে ব্যক্তির ওপর হামলা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।”

Advertisement

এর আগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো মন্দির, দুর্গামণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার স্বাধীন তদন্তেরও আহ্বান জানান তিনি। তিনি তাঁর টুইটে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান। সম্প্রতি ওই হামলার পর বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে তিনি প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান। মিয়া সেপ্পো লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তৈরি করেছে। আমরা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই শুরু হয় হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলা। এপর্যন্ত নোয়াখালির ইসকন মন্দিরের এক সদস্য-সহ খুন হয়েছেন চার জন সংখ্যালঘু। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোরান অবমাননা করে একটি পোস্ট দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তেই হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে। মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে হাসিনা সরকারের। হামলার ঘটনার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশে থামেনি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিংসা রুখতে সক্রিয় সরকার, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ শেখ হাসিনার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement