Advertisement
Advertisement

প্রয়াত বাংলাদেশের বিখ্যাত গীতিকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

Ahmed Imtiaz Bulbul passes away
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 22, 2019 1:39 pm
  • Updated:January 22, 2019 1:39 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রয়াত বাংলাদেশের সুপরিচিত গীতিকার এবং সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ ঢাকার আফতাব নগরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত বছরের মাঝামাঝি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল। তার থেকেই তার শরীর ভেঙে পড়ে। এদিন বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বুলবুল।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। একাধারে গীতিকার সুরকার এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের কয়েকশো চলচ্চিত্রে বুলবুল সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর লেখা এবং সুর করা বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা এবং সামিনা চৌধুরির মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা।  

বাংলাদেশে গানের জগতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন বুলবুল। আজও তার রচিত গান- ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’ দারুণ জনপ্রিয়। তবে শুধু সংগীতের জগতেই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও অবদান ছিল তাঁর। মাত্র ১৫ বছরে বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।  

Advertisement

[ইরানি সেনার উপর হামলা ইজরায়েলের, ঘনাল যুদ্ধের মেঘ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement