ভারতীয় মৎস্যজীবী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় চার মাস বাগেরহাট জেলে বন্দি থাকা ৬৩ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে পাঁচটি মাছ ধরা ট্রলার-সহ বৃহস্পতিবার সকালে সমুদ্রপথে পুশব্যাক করা হয়েছে। বুধবার সকালে বাগেরহাট আদালতের বিচারক এই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর বুধবার বিকেলে মোংলা থানা পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
রাত দুটোয়, জোয়ারের সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোংলা থেকে বঙ্গোপসাগরে দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের সমুদ্রসীমার জিরো পয়েন্ট থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুশব্যাক করেন। গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে মোট ৪ দফায় এই মৎস্যজীবীরা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় অবৈধভাবে ঢুকে মাছ ধরার অপরাধে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ৬৩ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী মুক্তি পেলেও বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরার অপরাধে বাগেরহাট কারাগারে আরও ৮২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মুক্তির বিষয়েও আলোচনা চলেছে।
এপ্রসঙ্গে মোংলা থানার OC ইকবাল বাহার চৌধুরি জানান, ওই মৎস্যজীবীরা আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের জলসীমায় (Bangladesh maritime boundary) অবৈধ ঢুকে মাছ ধরছিল। এই অপরাধে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা পাঁচটি মাছ ধরা ট্রলার-সহ মোট ৪ দফায় তাদের আটক করে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে মামলা দায়ের করে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।
অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ শাহিনুজ্জামান জানান, ওই মৎস্যজীবীরা প্রায় চার মাস ধরে আটক ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেই ওই ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ভারতে পুশব্যাক করা হয়েছে। বাগেরহাট কারাগারে আটকে থাকা বাকি মৎস্যবীজীদের ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.