ছবিটি প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর নির্মাণধীন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এর ফলে বাংলাদেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারত থেকে কবে নাগাদ আমদানি শুরু করা যেতে পারে তাও নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (PDB) সূত্রে খবর, ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে আদানি গোষ্ঠী। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনে নেবে পিডিবি। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ঐ কেন্দ্রটির প্ল্যানিং ও নির্মাণের কাজ করছে চিনের সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার ও ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হংকংয়ের তাইজুন ইন্টারন্যাশনাল এবং জামাইকার এইচটিজি ইঞ্জিনিয়ারিং। এর ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণকাজে জড়িত বেশির ভাগই চিনের নাগরিক।
চিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে আটকে পড়েছেন অনেক ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মী। এর ফলে আর্থিক ছাড়ের পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগোচ্ছে না কাজও। এই পরিস্থিতি গত জানুয়ারির শেষ দিকে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা কোম্পানিগুলি কেন্দ্রটিতে কাজ চালু করতে দেরি হবে বলে জানিয়েছে আদানিকে।
আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে এক চিঠিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আদানি পাওয়ারের পরিচালক বিকাশ মণ্ডলের সই করা ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, চিন সরকার দেশের নাগরিকদের বাড়িতে থাকতে ও ভিড় এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে। অনেক শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে প্রকল্পটির ইঞ্জিনিয়ারিং, কেনাকাটা, নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও পরিবহণ করা যাচ্ছে না।
এপ্রসঙ্গে PDB-এর এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ২০২২ সালের প্রথম থেকে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরুর কথা ছিল। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজও সম্প্রতি গতি পেয়েছিল। কিন্তু, এখন আবার থমকে গেছে। আমরা খুব আশাবাদী হলেও করোনার প্রভাব আরও কয়েক মাস থাকবে। আরও খারাপ কিছুও হতে পারে। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি পিছিয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.