Advertisement
Advertisement

Breaking News

সহবাস

একাধিক পুরুষের সঙ্গে সহবাসে চাপ, মা-সৎ বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ কিশোরী

শারীরিক নির্যাতনের জেরে অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়েও পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে সে।

A girl allegedly raped by her step father in Bangladesh

ছবি প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 21, 2019 12:04 pm
  • Updated:September 21, 2019 12:04 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: জোর করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে কিশোরীকে যৌন মিলনে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল সৎ বাবা এবং মায়ের বিরুদ্ধে। বর্তমানে বছর তেরোর নাবালিকা একটি পুত্রসন্তানেরও জন্ম দিয়েছে। নাবালিকা হয়েও সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তার অবস্থা ভাল নয়। নবজাতকও এখনও ভরতি হাসপাতালে। পুলিশ ওই নির্যাতিতার মা এবং সৎ বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

[আরও পড়ুন: থানাতেই অভিযুক্তের সঙ্গে গণধর্ষিতার বিয়ে, বরখাস্ত ওসি]

ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীটির বাবা মারা যাওয়ার পর মা আবার বিয়ে করে। তারপর থেকে সে মা এবং সৎ বাবার সঙ্গে ঢাকার ঝালকাঠির কালীবাড়ি এলাকায় থাকত। দিনকয়েক বছর তেরোর ওই কিশোরীকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। তবে পরে সকলে জানতে পারেন ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পুলিশের কানেও খবরটি পৌঁছায়। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সেখানেই একটি পুত্রসন্তান প্রসব করে সে। তবে কীভাবে কিশোরীর এমন অবস্থা হল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অল্প বয়সে মা হওয়ার ফলে কিশোরীর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। মানসিক অবসাদেও ভুগছে সে। নবজাতকের অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। কিশোরী পুলিশকে বলে,”কন্যাসন্তান হওয়ার ফলে আমার মায়ের সঙ্গে বাবার প্রায়ই অশান্তি হত। এরপর দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মা আমাকে নিয়ে বাবার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এরপর ঝালকাঠির কালীবাড়িতে থাকতে শুরু করি আমরা। আবারও বিয়ে করে মা। সৎ বাবার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে মা আমার উপর অত্যাচার করতে শুরু করে।” কিশোরীর অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে তাকে তার মা এবং সৎ বাবা অত্যাচার করে। তারা দু’জনে জোর করে একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করার জন্য কিশোরীকে চাপ দিত বলেও অভিযোগ। কিশোরীর আরও অভিযোগ, সৎ বাবাও প্রায়শই তাকে ধর্ষণ করত। মাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি তার।

[আরও পড়ুন: নাতির বয়সি প্রেমিকের প্রতারণায় রেগে আগুন, যুবকের যৌনাঙ্গে কোপ বৃদ্ধার]

ঝালকাঠি সদর থানার এসআই মহম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, “জন্ম নেওয়া সন্তানের পিতৃ পরিচয় এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। নবজাতক এবং নির্যাতিতার সৎ বাবার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওই নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারপরই জানতে পারব। তবে বর্তমানে কিশোরীর সৎ বাবা এবং মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা।” খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেই আশ্বাস দেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement