সুকুমার সরকার, ঢাকা: সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে রক্ত ঝরছে মায়ানমারের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের। জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা ও সরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৬ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৪১২ জন হিন্দু।
[পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা নয় ব্রিকসে, সাফ কথা চিনের]
মায়ানমারে তীব্রতর হয়ে উঠছে নিরাপত্তারক্ষী ও রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের লড়াই। প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০০ জনের। ফলে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি হিন্দু শরণার্থীর ঢল নেমেছে বাংলাদেশে। রাখাইন প্রদেশ থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন ওই শরণার্থীরা। সহায় সম্বলহীন এই শরণার্থীদের জন্য আবেদন জানিয়েছেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম হিন্দু পাড়ার মেম্বার স্বপন শর্মা রনি। তিনি জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার হিন্দুদের উপরও হামলা হয়। অভিযোগ, হিন্দুদেরও বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া থেকে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থানীয় নেতা স্বপন শর্মা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে অল্প দূরে একটি মন্দিরে এবং তার আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছেন পালিয়ে আসা ৪১২ জন হিন্দু।
[‘ভুল’ করে অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা! তারপর…]
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন রমা কর্মকার নামের এক শরণার্থী। তিনি জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার রিকটা নামের গ্রাম থেকে দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি এসেছেন। গ্রামে তাঁর স্বামী-সহ অনেক পুরুষকে মায়ানমারের সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। তাঁদের সামনেই হয়েছিল ওই হত্যালীলা। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার রিকটা গ্রাম ছাড়াও চিয়ংছড়ি এবং ফকিরাবাজার গ্রামে হিন্দুদের বসবাস। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়োতষ শর্মা চন্দন হিন্দু হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। রাখাইনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন তিনি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, হিন্দু শরণার্থীদের নিরাপত্তা-সহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.