ভাসানচর
সুকুমার সরকার, ঢাকা: অবশেষে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া ছোট একটি রোহিঙ্গা (Rohingya) দলকে নোয়াখালির দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বাস করছে। বরাবর রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে অনিচ্ছুক থাকলেও এবার স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তায় তাদের প্রথমবারের ভাসানচরে পাঠানো হল।
রোহিঙ্গাদের আবার ভাসানচরে না যেতে ইন্ধন জুগিয়ে থাকে দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো। কেননা সেখানে থাকার মতো আধুনিক সুযোগ বা এসির সুবিধা নেই। তাই তারা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। ফলে বাংলাদেশ সরকার চাইলেও রোহিঙ্গাদের আন্দোলনের কারণে সেখান পাঠানো সম্ভব হয়নি এতদিন। এবার কোনও উপায় না দেখে এই রোহিঙ্গা দলটিকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে ওই দলটি বাংলাদেশে প্রবেশের সময়ে ধরা পড়লে তাদের ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের একজন আধিকারিক বলেন, ‘কোস্ট গার্ডের সহায়তায় তাদের ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। প্রথমে ৩০ জনের মতো এবং পরবর্তীতে ধরা পড়া আরও কয়েকজনকে মিলিয়ে ৫০ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। ওখানে রাষ্ট্রসংঘ কাজ করছে না। তাই যা দায়িত্ব সব বাংলাদেশকেই নিতে হবে।
গত মাসে রোহিঙ্গাদের একটি দল উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে পরে বাংলাদেশেই ফিরে আসে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ৩৯২ জনকে আশ্রয় দেয়। এরপর বঙ্গোপসাগরে ভাসমান আরেকটি জাহাজে থাকা প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গাকে রাষ্ট্রসংঘ ও অন্যান্য কয়েকটি দেশ আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সরকার। পরিষ্কার জানিয়ে দেয় তাদের পক্ষে আর নতুন করে কোনও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ঢুকে পড়া ৫০ জনকে রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতেই হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.