প্রতীকী ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ। মৃত্যু হল ৪ শিশুর। কয়েকদিন আগেই উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রায় ২ হাজারের উপর মানুষকে মাঝ সমুদ্রে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না নাশকতার সম্ভাবনাও।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে বিস্ফোরণ ঘটে। যেখানে ৫ শিশু-সহ ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। সকলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাসেল নামে আড়াই বছরের এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়। এর পর ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশ্বেরা (৪) ও রবি আলম (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। গতকাল অর্থাৎ বুধবার আরেকটি শিশু প্রাণ হারায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না।
বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসেই কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প শুরু করে সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে ভাসানচরে পাঠানো শুরু হয়। তার পর থেকে বেশ কয়েকবার রোহিঙ্গাদের মুদ্রের মাঝের বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। কয়েকদিন আগেই ফের ২ হাজার ১৪৪ জন ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুরে একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় গ্যাস লিকেজ মেরামতের সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এনিয়ে শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহা বলেন, “একটি ঘরে লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই ঘটনা ঘটেছে। যা মেরামতের সময় ছোট বিস্ফোরণও ঘটেছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.