সুকুমার সরকার, ঢাকা: একদিকে প্রবল বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে অসহ্য গরমে পুড়ছে দক্ষিণ। প্রকৃতির দুই রূপ বাংলাদেশে। গত পনেরো দিন ধরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝে-মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলেও রীতিমতো খরা চলছে। যে কারণে অসহ্য গরমে নাজেহাল হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর, সিলেটের বন্যা আরও ভয়ংকর হচ্ছে। সব উপজেলায় (থানা) ছড়িয়ে পড়েছে বন্যার জল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলার অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়ে আছেন। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, সুরমা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় সিলেটে ঘনঘন বন্যা হচ্ছে। দ্রুত নদী খনন করা হবে। জানা গিয়েছে, অনেকেই পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। কিন্তু সেখানে রান্না করা খাবারের সংকট রয়েছে। তাই শুকনো খাবার খেয়েই তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে।
এদিকে, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জল ঢুকছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। উত্তরে যমুনা নদীর জল পাবনার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে যমুনার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের ফসলের জমি। গত পাঁচদিন ধরে যমুনা-সহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর জল বেড়ে চলেছে। সিরাজগঞ্জ জলউন্নয়ন বোর্ড বলছে, শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার জলস্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ মিটার। যা বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা: ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইউনিসেফ জানিয়েছে, বন্যায় বাংলাদেশে প্রায় ৮ লক্ষ শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.