ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার,ঢাকা: নতুন করে ক্ষমতায় ফিরে হাসিনা সরকার বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ ব্লগার অভিজিৎ খুনের মৃত্যুতে বিচার প্রক্রিয়া চলছে৷ তার মধ্যেই আরও এক বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক ডক্টর একেএম সফিউল ইসলাম হত্যায় তিন বিএনপি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিল আদালত৷
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মহম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার দিন কয়েক আগেই ঢাকার রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ব্লগার অভিজিৎ রায়৷
অধ্যাপক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরেরই ২৩ নভেম্বর যুব দলনেতা আবদুস সামাস পিন্টু-সহ ৬ জনকে আটক করে ব়্যাব৷ পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন৷ এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে৷ চার্জশিটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতারের সঙ্গে সফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার স্বামী যুব দলনেতা আবদুস সালাম পিন্টু সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে নাসরিন আখতারও বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
সোমবার সকালে রাজশাহী ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত হয়েছে আবদুস সালাম পিন্টু, সবুজ ও আরিফুল ইসলাম মানিক৷ এদের মধ্যে সবুজ পলাতক। বাকি দু’জন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল। পিন্টু ও মানিক যুবদলের নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.