সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ। এই মারণ রোগের হামলা ঠেকাতে বিদেশ থেকে ফেরত আসা সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারির পর এ পর্যন্ত ২১ হাজার ২২২ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও মধ্যে ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের আধিকারিক মহম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সোমবার শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে সব বিমানযাত্রীদের ঢাকায় আসার পর বিমানবন্দরেই থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। তবে বিশেষ সতর্কতা জারির সময় কেবল চিন থেকে সরাসরি ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের এই পরীক্ষা করা হতো। এ ছাড়া যাত্রীদের প্লেনের ভেতরে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও কারও শরীরেই ভয়ানক ভাইরাসটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে আপাতত কিছুটা উদ্বেগ কমেছে।
উল্লেখ্য, সদ্য করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে উত্তপ্ত আলোচনা হয় বাংলাদেশের সংসদে। অভিযোগ ওঠে, বিমানবন্দরে চিন ফেরত যাত্রীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় গাফিলতি করা হচ্ছে। সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক এই অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। চিন থেকে ফেরত আসা এক মহিলার ফেসবুক লাইভ নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ উদ্ধৃত করে মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। পাঁচ ঘণ্টা পর লিখে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় গাফিলতি, অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে কিছু যাত্রী পরীক্ষা ছাড়াই বেরিয়ে গিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.