ছবিটি প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে খুন চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শাখা সংগঠনের দুই যুব নেতা৷ দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শতসিদ্ধি চাকমা৷ খুন হয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলার নেতা এনো চাকমা৷
রবিবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ বাঘাইছড়ির বাবুপাড়ায় কমিউনিটি সেন্টারের পাশে বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী আক্রমণ চালায়৷ ব্রাশফায়ারে দুই নেতাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি থানার
অফিসার ইনচার্জ এম এ মনজুর। স্থানীয়রা জানান, যে এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই বাবুপাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
দীর্ঘদিন ধরে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রসিত খিসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সঙ্গে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ চলছিল ২০০৯ সালে গঠিত এই
সংগঠনটির। পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জ্ঞান চাকমা নিহতদের ‘নিজেদের নেতা’ দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে
রাতে জনসংহতি সমিতির কোনও দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি৷
এর আগে মার্চ মাসেও বাঘাইছড়িতে এমন একটি রাজনৈতিক হ্ত্যাকাণ্ড ঘটেছিল৷ সেবার উপজেলা ভোটের পরই খুন হয়ে যান এক নির্বাচনী আধিকারিক এবং আওয়ামি লিগের উপজেলা লিগ সভাপতি৷ একইদিনে আরেকটি জায়গায় খুন হয়েছিলেন আওয়ামি লিগের আরেক যুব নেতা৷ তিনজনকে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়৷ সেই ঘটনাতেও সন্তু লারমাকেই দায়ী করেছিল আওয়ামি লিগ৷ চার মাসের ব্যবধানে ফের একই ধরনের ঘটনায় অভিযোগের তির একই ব্যক্তির দিকে৷
রাঙামাটি এলাকায় আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার লড়াইতে তৈরি হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কালক্রমে সেনা বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত হয়৷ ফের তাদের সক্রিয়তা বাড়ার ইঙ্গিত পেয়ে ত্রস্ত রাঙামাটির বাসিন্দারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.