সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অত্যাচারের বিবরণ শুনে কেঁদে ফেললেন দুই নোবেলজয়ী। ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেরেইড ম্যাগুয়ার। দুই নোবেলজয়ী মহিলা আসছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে। এমনই খবর ছিল বাংলাদেশ সরকারের কাছে। রবিবার বিকেলে এই দুজন শিবির পরিদর্শনের পর সোমবার পরিদর্শনে যান ইরানের নোবেল জয়ী মহিলা শিরিন ইবাদি।
কারমান ও ম্যাগুয়ার শিবির পরিদর্শন করার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। নির্যাতিতা শরণার্থীদের যন্ত্রণাদীর্ণ অত্যাচারের কাহিনি শুনে মায়ানমার সরকারের বিরোধিতায় মুখর হন। এমনকী, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারেরও দাবি জানান। কক্সবাজারের উখিয়ার মধূছড়া ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় নির্যাতিতা শরণার্থীদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন দুই নোবেলজয়ী। তারপরই তাঁদের চোখে জল দেখা যায়। শিবির পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দুজনেই। সুচির বিচারের পাশাপাশি অত্যাচারিত শরণার্থীদের জন্য সমবেদনাও জানান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের প্রশংসা করতেও ভোলেননি কারমান ও ম্যাগুয়ার। কথা বলেন শরণার্থী শিবিরের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি সেক্রেটারির সঙ্গেও।
মধুছড়ার পাশাপাশি কুতুপালং শরণার্থী শিবিরেও পরিদর্শনে যান তাঁরা। সেখানে ফুল দিয়ে তাঁদের সংবর্ধনা জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক ও এনজিওর প্রতিনিধিরা। পরিদর্শনের সময় শরণার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন নোবেলজয়ীরা এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের উপরে বর্বরোচিত হামলার জন্য মায়ানমার সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ফিরিয়ে দিতে হবে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার।
প্রশাসন সূত্রের খবর, তিনজনই শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন। মূলত রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক জনমতকে আরও সুসংহত করতেই তিন নোবেলজয়ীর এই সফর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.