ছবি: প্রতীকী
সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসকদল আওয়ামি লিগের নেতা জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। একইসঙ্গে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে জহিরুল হককে হত্যা করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারক আবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান রবিবার সাজা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। এর আগে দেশে দু’জনকে খুনের ঘটনায় মোট ২৯ জনকে ফাঁসির সাজার আদেশ দেয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। প্রথম হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড হয় এবং দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৯ জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর নিদান দিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মারা ঘটনায় বছর দুই আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। আবরার হত্যাকাণ্ডে ২০ জনকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক। দ্বিতীয় মামলাটি ২০১৩ সালের, ঘটনাস্থল রাজশাহীতে। সেখানকার কলেজে শাসকদলের শীর্ষ নেতা শাহিন আলমেরও মৃত্যু হয়েছিল গণপ্রহারে। আদালতের বিচারক ৯ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় যুক্ত আরও ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হককে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তার ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলার ১৬ আসামি বর্তমানে কারাগারে আছে। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.