Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ramjyoti

অযোধ্যার ‘রামজ্যোতি’ পৌঁছবে কাশী ধামে, রাম সেবার দায়িত্বে ২ মুসলিম তরুণী

বারাণসীতে ভগবানের আশীসের অপেক্ষায় ভক্তেরা।

2 Muslim women set to bring Ramjyoti from Ayodhya to Kashi | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 6, 2024 8:56 pm
  • Updated:January 7, 2024 1:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামজন্মভূমিতে সাজসাজ রব। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। তার আগেই অযোধ্যার (Aydhdya) পবিত্র ‘রামজ্যোতি’ পৌঁছে যাবে কাশী ধামে, অর্থাৎ কিনা বারাণসীতে (Varanasi)। সেই ‘আলোকবর্তিকা’ বিশ্বনাথ ধামে বয়ে নিয়ে যাবেন দুই মুসলিম তরুণী। এমনকী সেই যাত্রাপথ মুসলিম মহল্লার ভিতর দিয়েই। বার্তা দেওয়া হবে, ভগবান রাম আমাদের পূর্বজ। এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ডিএনএ আসলে এক। শনিবারই বারাণসীর পথে যাত্রা করলেন দুই মুসলিম তরুণী।

সংঘপ্রধান (RSS) মোহন ভাগবত বহুবার দাবি করেছেন, ভগবান রাম আমাদের পূর্বজ। প্রত্যেক ভারতীয়ই আসলে হিন্দু। কারণ সকলের শরীরে একই ডিএনএ বইছে। কার্যত সেই বার্তাই দেবেন নাজমা ও নাজনিন। দুই তরুণীর ‘রামজ্যোতি’ হাতে শুভযাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কাশির ডোমরাজ ওম চৌধুরী এবং পাতালপুরী মঠের মহন্ত বালক দাস। রামজ্যোতি ছাড়াও নাজমা ও নাজনিন কাশি ধামে বয়ে নিয়ে যাবেন অযোধ্যার মাটি, সরযূ নদীর জল। যদিও বারাণসীতে ভক্তেরা রামজ্যোতি আশীস পাবেন ২১ জানুয়ারি থেকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আলবিদা ওয়ার্নার, বিদায়বেলায় খুদে সমর্থককে হেলমেট-গ্লাভস উপহার অজি তারকার]

দুই তরুণী নাজনিন ও নাজমার বিশেষ পরিচয় রয়েছে। নাজনিন ‘কনফ্লিক্ট’ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন বারাণসী হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে। হনুমান চালিশা এবং রামচরিত মানস অনুবাদ করেছেন উর্দুতে। সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তির জন্য দীর্ঘদিন কাজ করছেন। মহন্ত বালক দাস নাজনিনের গুরু। রামপন্থী নামের একটি সংগঠনেরও সদস্য এই মুসলিম তরুণী। যাদের কাজ রাম ভক্তির প্রচার। নাজনিনের কথায়, “অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আমরা খু্শি। রাম আমাদের পূর্বজ, মুসলিমদের কাছে যেমন মক্কা। হিন্দুদের জন্য এবং যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের জন্য অযোধ্যা হল পুণ্যভূমি।”

 

[আরও পড়ুন: ভিতরে জলরাশির শব্দ, পাশে খেলে বেড়াবে মাছ, গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর যেন অ্যাকোয়ারিয়াম!]

অন্যদিকে নাজমা বিএইচইউতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে পিএইচডি করেছেন । গত ১৭ বছর ধরে রামভক্তির কাজে যুক্ত এই তরুণী। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধনে গোটা দেশে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি তিন তালাকের বিরোধিতায় অন্যতম মুখ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement