জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভোটের আগে রাজনৈতিক সৌজন্যের বিরল ছবি বনগাঁয়। মৃত তৃণমূল কর্মীর পাশে দাঁড়াতে তাঁর বাড়িতে গেলেন বিজেপির (BJP) বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক বিজেপি কর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা মৃত ওই তৃণমূল (TMC) কর্মীর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানান। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনা এক রাজনৈতিক সৌজন্যের পরিচয় দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল|
লোকসভা ভোট (2024 Lok Sabha Election)উপলক্ষে দিন কয়েক আগে বনগাঁ শহরের নিউমার্কেট এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন ছিল। লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে নেতা-কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন। এসেছিলেন বাগদার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়কতলার বাসিন্দা সমীর রায়। বছর পঞ্চান্নর সমীরবাবু দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের একনিষ্ঠ সদস্য। ওইদিন সভা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দ্রুত বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় তাঁর।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল থেকে দলের কর্মীর মৃতদেহ সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন। শেষকৃত্য না হওয়া পর্যন্ত সেখানে তৃণমূল নেতারা হাজির ছিলেন। ওই ঘটনায় তদন্তের দাবি তুলেছিলেন দেবদাসবাবু। বৃহস্পতিবার দলীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দেবদাসবাবু গিয়েছিলেন চড়কতলায়, সমীরবাবুর বাড়িতে। তিনি পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তাঁদের হাতে ফলমূল তুলে দেন| দেবদাসবাবুর বলেন, ”রাজনৈতিক সৌজন্য থেকেই আমি গিয়েছিলাম। সমীরবাবুর ছেলে সজলকে কাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছি| ভোটের পর আমরা কাজের ব্যবস্থা করে দেব।”
যদিও বিজেপি নেতার এই যাওয়াকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের মন্তব্য, ”বিজেপি নেতারা সারা বছর মানুষের পাশে থাকেন না। তাঁদের সুখ-দুঃখের খোঁজ নেন না। এখন সামনে ভোট রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছেন ওঁরা। আমরা আমাদের কর্মীদের পরিবারের পাশে রয়েছি। আমরা সারা বছরই মানুষের সঙ্গে থাকি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.